আস্সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও ইসলামী জ্ঞানার্জনসহ
আদর্শ মুসলিম নারী গড়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত
সকল প্রশংসা সুমহান আল্লাহর জন্য নিবেদিত, যিনি জগৎসমূহের প্রতিপালক। সালাত ও সালাম তাঁর প্রিয়তম বান্দা ও সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর এবং তাঁর পরিবার-পরিজন, সাথী-সহচর ও একনিষ্ঠ অনুসারীদের উপর শান্তির অমিয় ধারা বর্ষিত হোক।
মানব সৃষ্টির লক্ষ্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন: মানুষ ও জিনকে ‘আমি সৃষ্টি করেছি এই জন্য যে, তারা একমাত্র আমারই ইবাদত করবে’
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন – (সূরা যারিয়াত, আয়াত -৫৬)
অর্থাৎ মানব জীবনের প্রতিটি মূহুর্ত কাটবে ইবাদাতের মাধ্যমে, সে যেখানেই থাকুক, যভাবেই থাকুক, প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে গেলই তার খাওয়া, ঘুম, পড়াশুনা, চাকুরী, পারিবরিক, সামাজিক, রাস্ট্রীয়, ধর্মীয় বিষয়সহ সকল কিছুই ইবাদতে পরিণত করতে হবে, কিন্তু কিভাবে? আর এ সম্পর্কেই জ্ঞানার্জন করা সকলের উপর ফরজ। যেমন রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন : মুসলিম নারী-পুরুষ সকলের জন্য দীনী জ্ঞানার্জন করা অপরিহার্য (ইবনু মাজাহ, হা/২২৪)
আর এ জ্ঞান ইচ্ছা করলেই অর্জন করা সম্ভব নয়, যদি না আল্লাহ চান, যেমন রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন : ‘আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দ্বীনের বুঝ দান করেন’ (বুখারী হা/৭১)।
অর্থাৎ আল্লাহর নিকট পছন্দনীয় ব্যক্তিদেরকেই তিনি দীনী বুঝ দান করেন সে পুরুষ কিংবা নারী যেই হোকনা কেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা আরোও বলেন: তুমি বল! যারা জানে আর যারা জানে না, তারা কি সমান হতে পারে? (সূরা আয্-যুমার, আয়াত : ০৯)
তবে সে জ্ঞানের ভিত্তি হতে হবে ওহী বা কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ। জ্ঞানার্জনের বিষয়ে পুরুষ বা নারী একজনকে অন্যের চেয়ে পিছিয়ে রাখার কোন সুযোগ নেই, যেমন- রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন : দুনিয়া পুরাটাই সম্পদ। আর দুনিয়ার সেরা সম্পদ হ’ল পুণ্যশীলা নারী (মুসলিম হা/১৪৬৭)।
পৃথিবীতে সেরা সম্পদ পূণ্যবান নারী হওয়ার জন্য প্রয়োজন দীনী জ্ঞান, দীনী জ্ঞান ছাড়া কখনো পূণ্যবান হওয়া সম্ভম নয়। তবে নারী-পুরুষের শিক্ষার পরিবেশে ভিন্নতা থাকা বাঞ্ছনীয়। ক্ষেত্র বিশেষে সিলেবাসেও ভিন্নতা থাকতে হবে। এটাই মহান আল্লাহর অমোঘ বিধান। কিন্তু বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় দীনী বিষয়ের সল্পতা, দীর্ঘমেয়াদী সিলেবাস, আবাসন সমস্যা, নিরাপত্তাহীনতা বিশেষ করে নারীদের জন্য দীনী শিক্ষার পরিবেশকে অনেকটাই কঠিন ও জটিল করেছে, বর্তমানে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও সহীহ দীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এখনো যথেষ্ট অভাব রয়েছে। কিছুটা হলেও সে অভাব পূরণের লক্ষ্যে আমাদের প্রিয় সন্তানদের জন্য যুগোপযোগী ও অনুকুল পরিবেশে, সহীহ দীন শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে এবং গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে এসে ব্যতিক্রমী ধারায় আমাদের সন্তানদেরকে “কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও ইসলামী জ্ঞানার্জনসহ আদর্শ মুসলিম নর-নারী হিসেবে গড়ার লক্ষ্যে “মাদরাসা দারুস সালাম”, কোঁয়ার, লাকসাম, কুমিল্লা-এর পথ চলা শুরু হয়েছে। মহান আল্লাহ আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা কবুল করুন।
আমীন।